রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৭

সুন্নতের আলো ও বিদআতের আঁধার পর্ব - ১



সুন্নতের আলো ও বিদআতের আঁধার

ভূমিকা

সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করি, তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। তাঁর কাছে স্বীয় কু-রিপু ও অসৎ কর্মের অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাই। তিনি যাকে হেদায়াত দেন তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন তাকে কেউ হেদায়াত দিতে পারে না।

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ্‌ছাড়া সত্যিকারের কোন মা'বুদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরিক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দা ও রাসূল। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁর, তাঁর পরিবারবর্গ, সাহাবায়ে কেরাম এবং কিয়ামত পর্যন্ত আগত তাঁর সকল অনুসারীর উপর।

''নূরুস সুন্নাহ্‌ ওয়া জুলুমাতুল বিদআহ '' নামক এ সংক্ষিপ্ত গ্রন্থে আমি সুন্নাতের অর্থ ও আহলুস্‌ সুন্নাহ ওয়াল জামাতের পরিচয় বর্ণনা করেছি। সুন্নাত একটি বিশেষ নিয়ামত, তাই সুন্নাত ও সুন্নাতের অনুসারীদের পরিচয়, মর্যাদা ও আমল কবুলের শর্ত সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছি। পাশাপাশি বিদআত ও বিদআতপন্থীদের পরিচয়, বিদআতের প্রকারভেদ, কারণ, বিধান এবং এর ক্ষতিকর দিকসমূহ তুলে ধরেছি। প্রচলিত বিদআত, কবর কেন্দ্রিক বিদআত ও এর ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। সাথে সাথে তা থেকে তাওবা করার প্রতি উৎসাহিত করেছি।

নিঃসন্দেহে সুন্নাত এমন আলোকবর্তিকা ও জীবনাদর্শ, যা বান্দাকে হেদায়াতের পথে পরিচালিত করে এবং সফলতার পথ প্রদর্শন করে।

আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ
يَوْمَ تبْيَضُّ وُجُوْهٌ وَ تَسْوَدُّ وَجُوْهٌ. (آل عمران: ১০৬)
অর্থ : যে দিন অনেক চেহারা উজ্জ্বল হবে ও অনেক চেহারা মলিন হবে।[১] 
ইবনে আব্বাস (রা) বলেনঃ
تَبْيَضّ وُجُوْهُ أَهْلِ السُّنَّةِ وَ الاِئْتِلافِ، وَتَسْوَدُّ وُجُوْهُ أَهْلِ الْبِدْعَةِ وَ التَّفَرُّقِ.
অর্থঃ "আহলুস্‌ সুন্নাহ তথা সুন্নাতের অনুসারীদের চেহারা উজ্জ্বল হবে ও বিদআতপন্থীদের চেহারা অন্ধকারের ন্যায় কালো হবে"। [২]

অর্থাৎ সুন্নাতের অনুসারীদের অন্তর জিন্দা এবং তাদের আত্না আলোকিত। তারা প্রকাশ্যে ও গোপনে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে। পক্ষান্তরে বিদআতপন্থীদের অন্তর মৃত ও অন্ধকারাচ্ছন্ন। আল্লাহ্‌ যাকে চান তাকে এ অন্ধকার হতে মুক্তি দিয়ে সুন্নাতের আলোকিত পথে নিয়ে আসেন।

আমি আলোচ্য বিষয় দু'টি অধ্যায়ে ভাগ করেছি।

১ম অধ্যায় : সুন্নাতের আলো
২য় অধ্যায় : বিদআতের অন্ধকার

প্রথম অধ্যায়ে ৫টি পরিচ্ছেদ আর দ্বিতীয় অধ্যায়ে ১০টি পরিচ্ছেদ রয়েছে।

আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন এ কাজে বরকত দান করেন। এ আমলকে আমার জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পর কল্যাণময় আমল হিসেবে গ্রহণ করেন এবং পাঠকদের উপকৃত করেন। তিনিই সর্বোত্তম প্রার্থনা কবুলকারী ও আশার স্থল, তিনিই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং সর্বোত্তম তত্ত্বাবধায়ক। একমাত্র আল্লাহ তা'আলার অনুগ্রহ ব্যতীত গুনাহ থেকে বাঁচার ও সৎকাজ করার শক্তি নেই। আল্লাহ্‌ তা'আলা স্বীয় বান্দা ও রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর রহমত, বরকত ও শান্তি বর্ষণ করুন। আরো রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন তাঁর পরিবার বর্গ, সাহাবায়ে কেরাম ও তাঁর সকল একনিষ্ঠ অনুসারীগণের উপর।

লিখক: ডঃ সাঈদ ইবনে আলী ইবনে ওহাফ আল-কাহত্বানী।

মাহে শাবান ও শবে বরাতঃ করণীয় ও বর্জনীয়



মাহে শাবান ও শবে বরাতঃ করণীয় ও বর্জনীয়

হিজরী সনের ৮ম মাস হচ্ছে শাবান মাস। তার পরই আসে বছরের শ্রেষ্ঠ রামাযান মাস। সে হিসেবে মুসলিমের জীবনে এ মাসের যথেষ্ঠ গুরুত্ব রয়েছে। দীর্ঘ টানা একমাস তাকে সিয়াম সাধনা করতে করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন মানসিক, শারিরিক ও আর্থিক প্রস্তুতি। আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রামাযানে প্রস্তুতি স্বরূপ অন্য মাসের তুলনায় শাবান মাসে বেশী বেশী নফল রোযা রাখতেন। আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ
فَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَكْمَلَ صِيَامَ شَهْرٍ إِلاَّ رَمَضَانَ ، وَمَا رَأَيْتُهُ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِى شَعْبَانَ
আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রামাযন ব্যতীত অন্য কোন পূর্ণ মাসে রোযা রাখতে দেখে নি। আর তাঁকে আমি শাবান মাসের চেয়ে অধিক রোযা অন্য কোন মাসে রাখতে দেখি নি। (বুখারী) 
সুতরাং শাবান মাসে আমরাও রাসূলের সুন্নাত অনুযায়ী বেশী বেশী করে রাখবো এবং আল্লাহর কাছে প্রাণ খুলে দুআ করবো, তিনি যেন আমাদেরকে রামাযান পর্যন্ত হায়াত দান করেন এবং রামাযানের ফজীলত ও বরকত হাসিল করার তাওফীক দেন।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই শাবান মাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। বিশেষ করে প্রচলিত আছে সমাজের বিরাট এক অংশে শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে কিয়াম করা তথা নফল নামায পড়া এবং পরের দিন ছিয়াম পালন করার চিরাচরিত নিয়ম। যদিও রাসূল (সাঃ) থেকে এই রাতের নফল নামায এবং দিনের বেলা রোযা রাখার ব্যাপারে কোন সহীহ হাদীছ পাওয়া যায়না। এরাতকে আমাদের দেশের পরিভাষায় শবে বরাত বলা হয়ে থাকে। এ রাত সম্পর্কে মানুষের বিদআতী ধারণা এবং এরাতে মানুষ যেসমস্ত বিদআতী আমল করে তার বিস্তারিত বিবরণ প্রয়োজন। নিম্মে তার কিছু বিবরণ পেশ করা হলঃ

শাবানের পনেরতম রজনী উদযাপনের বিধান



শাবানের পনেরতম রজনী উদযাপনের বিধান

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে প্রদান করেছেন পূর্ণাঙ্গ একটি জীবন বিধান। 
এরশাদ হচ্ছে :
الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا ﴿ المائدة : ৩﴾
আজ আমি তোমাদের দ্বীন পূর্ণ করে দিলাম। পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম আমার নেয়ামত ; তোমাদের জন্য ইসলাম ধর্ম মনোনীত ও পছন্দ করলাম। (সূরা মায়েদা : ৩)
অপর স্থানে এরশাদ হয়েছে :
أَمْ لَهُمْ شُرَكَاءُ شَرَعُوا لَهُمْ مِنَ الدِّينِ مَا لَمْ يَأْذَنْ بِهِ اللَّهُ ﴿ الشورى:২১﴾
তাদের কি আল্লাহর সমকক্ষ শরিক-দেবতা আছে ?—যারা তাদের জন্য আল্লাহকে পাশ কাটিয়ে এমন ধর্ম সিদ্ধ করেছে, যার অনুমতি তিনি প্রদান করেননি ?’ শুরা-২১।
হাদিসে এসেছে :
وفي الصحيحين عن عائشة رضي الله عنها، عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال : (من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد).
আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে আমাদের ধর্মে এমন কিছু আবিষ্কার করল, যা এতে নেই, তা পরিত্যক্ত। বোখারি, মুসলিম। 

শাবান মাস: সুন্নত উপেক্ষিত বিদ'আত সমাদৃত


শাবান মাস: সুন্নত উপেক্ষিত বিদ'আত সমাদৃত

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
প্রাণ প্রিয় ভাই, রামাযানুল মোবারকের প্রস্তুতির মাস শাবান আমাদের মাঝে উপস্থিত। এ মাসে আমাদের জন্য রয়েছে কিছু করণীয়। রয়েছে কিছু বর্জনীয়। এ বিষয়টি নিয়েই আজকের এই পোস্টের অবতারণা। এতে মোট ৭টি বিষয় আলোচিত হয়েছে। যথা:
১) শাবান মাসে নফল রোযা রাখা সম্পর্কে বর্ণিত সহীহ হাদীস সমূহ।
২) শাবান মাসের পনের তারিখের ব্যাপারে একটি হাদীস পর্যালোচনা ও তার শিক্ষা।
৩) শাবান মাস সম্পর্কে কতিপয় প্রচলিত জাল ও যঈফ হাদীস|
৪) কুরআন কোন রাতে অবর্তীণ হয়? শাবান মাসের শবে বরাতে নাকি রামাযান মাসের শবে কদরে?
৫) শবে বরাত উদ্‌যাপন করা বিদআত।
৬) শাবান মাসে প্রচলিত কতিপয় বিদআত।
৭) সারাংশ।

শবে বরাত উপলক্ষে প্রচলিত কতিপয় বিদ'আতের উদাহরণ



শবে বরাত উপলক্ষে প্রচলিত কতিপয় বিদ'আতের উদাহরণ
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
প্রিয় ভাই, আর ক’দিন পরই আমাদের সমাজে মহাসমারোহে পালিত হবে শবে বরাত। সে দিন সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হবে। হালুয়া-রুটি খাওয়ার ধুম পড়ে যাবে। অনুষ্ঠিত হবে মিলাদ মাহফিল ও জিকিরের মজলিস। সেই সাথে মুর্হুমূহু আতশবাজিতে কেঁপে কেঁপে উঠবে শবে বরাতের রাতের আকাশ। আরও দেখা যাবে মসজিদের আঙ্গিনাতে যাদের পদ যুগল পড়ত না সে রাতে তারাই আতর-সুগন্ধি মেখে টুপি-পাঞ্জাবী পরে মসজিদের প্রথম কাতারে মুসল্লী সেজে অবস্থান করছে আর বিশেষ কিছু এবাদত-বন্দেগী করে মনে করবে জীবনের সব গুনাহ মাফ হয়ে গেছে। তারপর দিন সকাল থেকে লিপ্ত হবে যাবতীয় অন্যায়-অপকর্ম, দুর্নীতি আর আল্লাহর নাফরমানীতে। হয়ত সে দিনকার ফজরের নামায পড়ারও সময় হবে না। আর অপেক্ষায় থাকবে আগামী বছর শবে বরাতের। এভাবে আরও কত কি? আমাদের সমাজের এ অবস্থায় আমরা জানার চেষ্টা করি একাজগুলো কতটুকু ইসলাম সমর্থিত?

যে সকল ইবাদতের ক্ষেত্রে ইসলাম সমর্থন দেয় নি সেটা ইসলামের নামে করাই তো বিদআত। বিদআতের পরিণাম অতি ভয়ানক। এ ব্যাপারে কুরআনও হাদীসে অসংখ্য সতর্কতা উচ্চারিত হয়েছে। তাই আসুন, আমরা নিজেরা বিদআত থেকে বাঁচি সেই সাথে বাঁচানোর চেষ্টা করি আমাদের সমাজকে। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফীক দান করুন।

• আমাদের সমাজে শবে বরাত উপলক্ষে প্রচলিত কতিপয় বিদআতের উদাহরণ:

শবে বরাত সম্পর্কে বিশ্ব বরেণ্য আলেম শায়খ আবদুল আযীয আবদুল্লাহ বিন বায রাহিমাহুল্লাহ এর প্রবন্ধের আলোকে

শাবানের পনেরতম রজনী উদযাপন, শরীয়তের দৃষ্টিভঙ্গি



শাবানের পনেরতম রজনী উদযাপন, শরীয়তের দৃষ্টিভঙ্গি

শবে বরাত সম্পর্কে বিশ্ব বরেণ্য আলেম শায়খ আবদুল আযীয আবদুল্লাহ বিন বায রাহিমাহুল্লাহ এর প্রবন্ধ -
حكم الاحتفال بليلة النصف من شعبان للشيخ عبد العزيز بن عبد الله بن باز رحمه الله
‘মধ্য শাবানের রাত উদযাপনের বিধান’ এর সার-সংক্ষেপ তুলে ধরব। তার এ প্রবন্ধে অনেক উলামায়ে কিরামের মতামত তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেনঃ 
اليوم أكملت لكم دينكم وأتممت عليكم نعمتي ورضيت لكم الإسلام دينا. (المائدة : ৩)
অর্থঃ আজ আমি তোমাদের দীনকে তোমাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের জন্য আমার নেআমাত সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন হিসাবে মনোনীত করলাম। (সূরা আল - মায়িদা: ৩) 
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেনঃ
أم لهم شركاء شرعوا لهم من الدين ما لم ياذن به الله.(الشورى : ২১)
অর্থঃ তাদের কি এমন কতগুলো শরীক আছে যারা তাদের জন্য ধর্মের এমন বিধান দিয়েছে যার অনুমতি আল্লাহ দেননি?   (সূরা আশ শুরা: ২১)
হাদীসে এসেছেঃ
عن عائشة رضى الله عنها عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال : من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد.
  (رواه البخاري ومسلم)
অর্থঃ যে আমাদের এ ধর্মে এমন কিছুর প্রচলন করবে যা ধর্মের মধ্যে ছিল না তা প্রত্যাখ্যাত হবে। (বুখারী ও মুসলিম)

শবে বরাতঃ সঠিক দৃষ্টিকোণ

শবে বরাতঃ সঠিক দৃষ্টিকোণ



শবে বরাতঃ সঠিক দৃষ্টিকোণ

আলোচ্যসূচি
১। লেখকের কৈফিয়ত
২। কতিপয় মূলনীতি
৩। ‘শবে বরাত’ এর অর্থ
৪। আল-কুরআনে শবে বরাতের কোন উল্লেখ নেই
৫। শবে বরাত নামটি হাদীসের কোথাও উল্লেখ হয়নি
৬। ফিকহের কিতাবে শবে বরাত
৭। শবে বরাত সম্পর্কিত প্রচলিত আকীদাহ-বিশ্বাস ও ‘আমল
৮। শবে বরাতের সম্পর্ক শুধু ‘আমলের সাথে নয়
৯। শাবানের মধ্যরজনীর ফযীলত সম্পর্কিত হাদীসসমূহের পর্যালোচনা
১০। শাবানের মধ্যরজনীর সম্পর্কিত হাদীসসমূহ পর্যালোচনার সারকথা
১১। ভাগ্য লিপিবদ্ধ করা সম্পর্কিত একটি হাদীস ও উহার পর্যালোচনা
১২। সৌভাগ্য রজনী ধর্ম বিকৃতির শামিল
১৩। শবে বরাত সম্পর্কে উলামায়ে কিরামের বক্তব্য
১৪। শবে বরাত সম্পর্কে মুসলিম উম্মাহর অবস্থান
১৫। শবে বরাত সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করার দায়িত্ব উলামায়ে কিরামের
১৬। একটি বিভ্রান্তির নিরসন
১৭। বিদ‘আত সম্পর্কে কিছু কথা
১৮। বিদ‘আতের কুফল
১৯। সন্দেহজনক নফল ‘আমল থেকে দূরে থাকা উত্তম
২০। সর্বশেষ আহ্বান
২১। প্রমাণপঞ্জী

কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টিতে শবে বরাত সমাধান



বইঃ কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টিতে শবে বরাত সমাধান - ফ্রি ডাউনলোড

বইটির সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
নাম: কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টিতে শবে বরাত সমাধান
লেখক: শাইখ আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম
ডাইরেক্টর, শিক্ষা ও দাওয়াহ বিভাগ, রিভাইভ্যাল ওব ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটি, কুয়েত, বাংলাদেশ অফিস
প্রকাশনায়: তাওহীদ পাবলিকেশন্স, হাজী আব্দুল্লাহ সরকার লেন, বংশাল, ঢাকা।

বইটিতে যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো হলো :
• শবে বরাতের শাব্দিক তৎত্পর্য
• শারী’আতে ইসলামিয়াহর এই রাতের ভিত্তি
• অর্ধ শাবানের রাতের ফযীলতের উপর পর্যালোচনা
• শবে বরাতের ইবাদাত কিভাবে চালু হয়?
• সংশয় ও তার নিরসন
• অর্ধ শাবানের রাতে প্রচলিত বিদআত প্রভৃতি।

কোরআন মাজীদ সহজ সরল বাংলা অনুবাদ

কোরআন মাজীদ সহজ সরল বাংলা অনুবাদ

সূরা আল কামার’ মক্কায় অবতীর্ণ কোরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। আল্লাহ তায়ালা এই সূরায় একটি বিশেষ আয়াত চার বার উল্লেখ করেছেন। সে বিশেষ আয়াতটির অর্থ হচ্ছে, “অবশ্যই আমি শিক্ষা গ্ৰহণ করার জন্যে কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি, অতএব আছে কি তোমাদের মাঝে কেউ এর থেকে শিক্ষা গ্ৰহণ করার?”
quran-easy-translation

বাংলা ভাষায় আল কুরআনের অনুবাদ

বাংলা ভাষায় আল কুরআনের অনুবাদ - ফ্রি ডাউনলোড


অনুবাদ করেছেনঃ  প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ মুজিবুর রহমান

প্রকাশনাঃ  দারুসসালাম পাবলিকেশন্স , সৌদি আরব


সূরা 'আল ক্বামার' মক্কায় অবতীর্ণ ক্বুরানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। আল্লাহ তা’আলা এই সূরায় একটি বিশেষ আয়াত চার বার উল্লেখ করেছেন। সে বিশেষ আয়াতটির অর্থ হচ্ছে, 'অবশ্যই আমি শিক্ষা গ্রহণ করার জন্যে ক্বুরানকে সহজ করে দিয়েছি, অতএব আছে কি তোমাদের মাঝে কেউ এর থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার?'