রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৭

ফেসবুক ব্যবহারে ইসলামী নির্দেশনা

  ফেসবুক ব্যবহারে ইসলামী নির্দেশনা

 

ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় প্রতিটি মানুষই এখন কম-বেশি ফেসবুক ব্যবহার করেন। ফেসবুক এখন পৃথিবীর অন্যতম আলোচিত বিষয়। ফেসবুক এ জগতের এক নতুন শক্তির নাম। এর মাধ্যমে কোনো দেশে বিপ্লব সাধিত হচ্ছে। কোথাওবা সরকারের গদি টালমাটাল হচ্ছে। আবার এর মাধ্যমে দুষ্কৃতিকারীরা মিথ্যা ছড়িয়ে দিচ্ছে। অশ্লীলতা ও নগ্নতাকে সহনীয় করে তুলছে। তরুণ প্রজন্মের অনেকের কাছেই আজ এই ফেসবুক এক আফিমের মতো। পৃথিবী জুড়ে অসংখ্য তরুণ-তরুণী এর মাধ্যমে অবৈধ সম্পর্ক গড়ছে এবং মিথ্যার রাজত্ব কায়েম করছে।

তেমনি এর মাধ্যমে হাজারো মুসলিম ভাই-বোন নিজেদের কল্যাণকর চিন্তা ও জনহীতকর ধারণা অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। বিশুদ্ধ আকীদা ও চিন্তা-চেতনার প্রসারও সহজ হয়ে গেছে। যখন যে উপলক্ষ আসছে সে সম্পর্কে ইসলামের দিক-নির্দেশনা সহজেই ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে এর মাধ্যমে। ইসলাম ও মানবতার শত্রুরা এতদিন যখন ইন্টারনেটের এই ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ইচ্ছে মত ইসলাম ও ইসলামের নবী এবং তাঁর আদর্শকে অসম্মান বা অপমান কিংবা তার বিরুদ্ধে বিবেকহীন অপপ্রচার চালিয়েছে কোনো বাধা ছাড়া। আজ তারা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। তাদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া যাচ্ছে। পৃথিবীর বিবেকবান মানুষের সামনে প্রকৃত সত্য তুলে ধরা যাচ্ছে এই ফেসবুকের মাধ্যমে।
বর্তমানে তাই নেককার মুত্তাকি লোকদেরও দেখা যাচ্ছে ফেসবুকে। কিন্তু জুকারবার্গের এ দুনিয়ায় পা রেখেই তাঁরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন অনেক দুরাচারী বা রুচিহীন লোকের উৎপাতের কারণে। অনেকে অযথা অভব্য বাক্য লিখে কিংবা অশালীন ছবি পোস্ট করে নিজের ওয়ালে। আর তা তাদের কাছে ভালো লাগলেও অনেকের কাছেই যে ন্যাক্কারজনক প্রতীয়মান হয় সেদিকে তারা খেয়াল করে না। এদের দেখে দমে গেলে হবে না। চেষ্টা করে যেতে হবে সাধ্যমত ভালো কথা বলে যেতে। সে লক্ষ্যেই বক্ষমান নিবন্ধে আমরা চেষ্টা করব ফেসবুক ব্যবহারের ১০টি ইসলামী নির্দেশিকা তুলে ধরতে। এগুলো মূলত ইসলামের আদর্শ বোধ থেকেই আমাদের সবার খেয়াল করা দরকার। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে বুঝার এবং মানার তাওফীক দান করুন।
ফেসবুক ব্যবহার নির্দেশিকা : (1)
এটা জানা কথা যে পরিমিত লজ্জা নারী চরিত্রকে উচ্চতায় নিয়ে যায়। লজ্জা নারীর বিশেষ ভূষণ বৈ কি। আর লজ্জা খোয়ানোকে তার জন্য একটি দুর্যোগ ভাবা হয়। এটি কলংকিত করাকে এক ধরনের বেইজ্জতি গণ্য করা হয়।

শনিবার, ৩ জুন, ২০১৭

|| কীভাবে নামাজের #মধুরতা আস্বাদন করা যায় (পর্ব ১) ||

|| কীভাবে নামাজের #মধুরতা আস্বাদন করা যায় (পর্ব ১) ||

পরম করুনাময় এবং অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে

সকল প্রশংসা ও শুকরিয়া আল্লাহ তায়ালার জন্যে, এবং অজস্র দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক সকল নবী রাসুল গনের উপর|

বেশ কিছুদিন আগে, কুয়েতী দা’য়ী মিশারী আল-খারাজ এর উপস্থাপনায় ”كيف تتلذذ بالصلاة؟” নামে একটি আরবি প্রোগ্রাম প্রচারিত হয়েছিল যার মানে হলো: “কিভাবে নামাজের মধুরতা আস্বাদন করা যায়?” আমা…দের প্রায় সবারই নামাজের ‘খুশু’ কমবেশি হয়ে থাকে| খুশু কী? এটা আসলে অন্তরের বা মনের একটি অবস্থা যা নামাজে প্রশান্তি, গাম্ভীর্য ও বিনম্রতা বজায় রাখে; যা হৃদয় থেকে বর্ষিত হয়ে আমাদের আল্লাহর সামনে বিনম্র ও আম্ত্মসমর্পিত করে|

বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০১৭

দাড়ি রাখার ব্যাপারে বিশ্বের বিখ্যাত ‘আলেমদের অভিমত

দাড়ি রাখার ব্যাপারে বিশ্বের  বিখ্যাত ‘আলেমদের অভিমতঃ
.....................................................................................
- হাফেয ‘আল্লামা আবু মুহাম্মদ আলী ইবন হাযম (মৃত: ৪৫৬ হি.) বলেন,
"اتفق العلماء على أن قص الشارب وإعفاء اللحية فرض".
“সমস্ত ‘আলেম একমত যে, মোচ কাটা এবং দাড়ি রাখা ফরয (ওয়াজিব)।”

বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০১৭

সহস্রাধিক দুর্লভ বই কালেকশন [ UPDATE ]


আপনাদের জন্য বিভিন্ন ইসলামিক ওয়েবসাইট থেকে সব বইয়ের সরাসরি ডাউনলোড লিঙ্ক গুলো সংগ্রহ করেছি। ইসলামি বইয়ের তালিকার শেষে নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যতিক্রমধর্মী কিছু দুষ্প্রাপ্য বই এবং কিছু সফটওয়্যারের সন্ধান পাবেন।

যখন আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালা কারো কল্যাণ করতে স্থির করেন তিনি তাকে দ্বীনকে উপলব্ধি করার বোধশক্তি (ধর্মীয় জ্ঞান) দান করেন।[বুখারী,১ম খন্ড, ৩য় অধ্যায়, হাদিস ৭১]
(পুরো বই ডাউনলোড করুন এখান থেকে, আলাদা আলাদা করে সুরা দেয়া আছে)

শবে বরাত সিরিজ [পর্ব-০১ - ০৭]

শবে বরাত সিরিজ | পর্ব-০১ | লাইলাতু নিসফু মিন শা’বান বনাম শবে বরাত। শাইখ ডক্টর মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ



শবে বরাত সিরিজ | পর্ব-০২ | শবে বরাত কেন্দ্রিক যঈফ হাদীস ভিত্তিক নফল ইবাদত কি বিদআত হবে?ড. সাইফুল্লাহ, নিম্নেঃ 

শবে বরাত নিয়ে জাল/জয়ীফ হাদীসের নমুনা

শবে বরাত নিয়ে জাল/জয়ীফ হাদীসের নমুনাঃ

আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের আরবী বোঝার ক্ষমতা নাই, আর কুরআন-হাদীস সব হলো আরবীতে। তাই শরীয়ত জানার জন্য আমাদের অনেকেই বেদাতীদের অনুবাদ করা কিতাবের বা বেদাতীদের লেখা বইপত্র (যেমন বেহেশতি যেওর, মকসুদুল মুমিনিন, ফাযায়েলে আমল, নেওয়ামুল কুরআন সহ অন্যান্য বেদাতি বই পুস্তক) পড়ে। কোন ব্যক্তি যদি কানা হয়, তাহলে বেদাতীরা তাকে কুঁড়েঘর দেখিয়ে হাইকোর্ট বলে চালিয়ে দেবে, আর তিনি সেটা অন্ধ বিশ্বাসে মেনে নিবেন – এটাই সত্যি এবং স্বাভাবিক।
.
চলুন আজকে আমরা এমন একটা ঘটনা দেখি, যেখানে বেদাতী হুজুরেরা হাদীসের নামে প্রতারণা করে শবে বরাতের রাতে হালুয়া-রুটি খাওয়ার ধর্ম চালু করেছে।
.
শবে বরাত নিয়ে সুনানে তিরমিযীতে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে, আর হাদীসটি একই সনদে সুনানে ইবনে মাজাহ সহ আরো দুই-একটা হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। হাদীসটি নিন্মরূপ।