ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় প্রতিটি মানুষই এখন কম-বেশি ফেসবুক ব্যবহার
করেন। ফেসবুক এখন পৃথিবীর অন্যতম আলোচিত বিষয়। ফেসবুক এ জগতের এক নতুন শক্তির নাম।
এর মাধ্যমে কোনো দেশে বিপ্লব সাধিত হচ্ছে। কোথাওবা সরকারের গদি টালমাটাল হচ্ছে। আবার
এর মাধ্যমে দুষ্কৃতিকারীরা মিথ্যা ছড়িয়ে দিচ্ছে। অশ্লীলতা ও নগ্নতাকে সহনীয় করে
তুলছে। তরুণ প্রজন্মের অনেকের কাছেই আজ এই ফেসবুক এক আফিমের মতো। পৃথিবী জুড়ে
অসংখ্য তরুণ-তরুণী এর মাধ্যমে অবৈধ সম্পর্ক গড়ছে এবং মিথ্যার রাজত্ব কায়েম করছে।
তেমনি এর মাধ্যমে হাজারো মুসলিম ভাই-বোন নিজেদের কল্যাণকর চিন্তা ও জনহীতকর
ধারণা অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। বিশুদ্ধ আকীদা ও চিন্তা-চেতনার প্রসারও সহজ হয়ে
গেছে। যখন যে উপলক্ষ আসছে সে সম্পর্কে ইসলামের দিক-নির্দেশনা সহজেই ছড়িয়ে দেওয়া
সম্ভব হচ্ছে এর মাধ্যমে। ইসলাম ও মানবতার শত্রুরা এতদিন যখন ইন্টারনেটের এই
ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ইচ্ছে মত ইসলাম ও ইসলামের নবী এবং তাঁর আদর্শকে অসম্মান বা
অপমান কিংবা তার বিরুদ্ধে বিবেকহীন অপপ্রচার চালিয়েছে কোনো বাধা ছাড়া। আজ তারা
চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। তাদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া যাচ্ছে। পৃথিবীর
বিবেকবান মানুষের সামনে প্রকৃত সত্য তুলে ধরা যাচ্ছে এই ফেসবুকের মাধ্যমে।
বর্তমানে তাই নেককার মুত্তাকি লোকদেরও দেখা যাচ্ছে ফেসবুকে। কিন্তু
জুকারবার্গের এ দুনিয়ায় পা রেখেই তাঁরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন অনেক দুরাচারী বা
রুচিহীন লোকের উৎপাতের কারণে। অনেকে অযথা অভব্য বাক্য লিখে কিংবা অশালীন ছবি পোস্ট
করে নিজের ওয়ালে। আর তা তাদের কাছে ভালো লাগলেও অনেকের কাছেই যে ন্যাক্কারজনক
প্রতীয়মান হয় সেদিকে তারা খেয়াল করে না। এদের দেখে দমে গেলে হবে না। চেষ্টা করে
যেতে হবে সাধ্যমত ভালো কথা বলে যেতে। সে লক্ষ্যেই বক্ষমান নিবন্ধে আমরা চেষ্টা করব
ফেসবুক ব্যবহারের ১০টি ইসলামী নির্দেশিকা তুলে ধরতে। এগুলো মূলত ইসলামের আদর্শ বোধ
থেকেই আমাদের সবার খেয়াল করা দরকার। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে বুঝার এবং মানার
তাওফীক দান করুন।
ফেসবুক ব্যবহার নির্দেশিকা : (1)
এটা জানা কথা যে পরিমিত লজ্জা নারী চরিত্রকে উচ্চতায় নিয়ে
যায়। লজ্জা নারীর বিশেষ ভূষণ বৈ কি। আর লজ্জা খোয়ানোকে তার জন্য একটি দুর্যোগ ভাবা হয়। এটি কলংকিত করাকে
এক ধরনের বেইজ্জতি গণ্য করা হয়।